জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নে পশ্চিম ঝাউগড়া গ্রামের বহুল আলোচিত প্রতিবন্ধী ধর্ষণে অন্তসত্তার অভিযোগে দায়ের করা মামলার বাদী অসহায় বিধবা পরিবারে আর্তনাদ চলছে। গত ২৮ জুন শনিবার একই গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে হাবিল( ৪৫) প্রতিবন্ধী কে প্রলোভন দেখিয়ে জোর পুর্বক একাধিক বার ধর্ষন করলে প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্তা হয়ে যায়।পরে বিষয়টি জানাজানি হলে – ধর্ষিতা প্রতিবন্ধীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকগন পরিক্ষা ণিরিক্ষা করার পর ধর্ষিতাকে ৫/৬ মাসের অন্তা:সত্তা বলে জানায়। তার পরেই অভিযোক্ত ধর্ষক হাবিলকে আসামি করে প্রতিবন্ধীর মা মালেহা বেগম বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় ২৭/০৪/২১ইংরেজি ২২.৪৫ ঘটিকায় একটি ধর্ষন মামলা করেন। মামলা নং- ২৩ ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(স:)০৩)এর ৯(১)। মামলার ফলে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জের তদারকিতে এবং গনমাধ্যম কর্মিদের তৎপরতায় ধর্ষক হাবিল কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। কিছুদিন না যেতেই মামলার কোন ফাঁক ফুকরে ধর্ষক হাবিল অস্থায়ী জামিনে আসেন। জামিনে বের হয়ে এসেই বাদীকে হুমকি, ভয় ভীতি দিতে থাকে।বাদী পরিবার ও ভীকটিমের নিরাপত্তা চেয়ে ০২/০৬/২১ তারিখে জামালপুর র্্যাব -১৪ বরাবর একটি অভিযোগও দেয়।তার পরেও আইন শৃংখলা বাহিনীর কোন সহযোগী পায়নি বলে অভিযোগ বাদী মালেহার। এদিকে ধর্ষিতার পেটে ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং পুষ্টিকর খাবার ওঅন্ত: সত্তা মায়ের যে সমস্থ চিকিৎসা ও খাবার প্রয়োজন সেগুলো ছাড়াই আল্লাহর রহমতে গত ৯ আগস্ট সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে একটি ফুটফুটে সুন্দর ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এখন নবজাতক শিশু পিতৃপরিচয়হীন হয়ে কিভাবে বেঁচে থাকবে? কে এর ন্যায় বিচারে এগিয়ে আসবে?এই অসহায় প্রতিবন্ধীর না আছে বাবা,স্বামী,অর্থ জনবলও ক্ষমতা।প্রক্ষান্তে বিবাদী হাবিলের সব আছে।আছে তার দাদা,বাবা,ভাই এর ধর্ষনের ইতিহাস ও ক্ষমতা,অর্থ, জনবল,মেয়ে জামাই সেনাবাহিনী ও বেওয়াই প্রতাবশালী মেম্বার। এই ধর্ষিতা পরিবারে পাশে দাড়ানো মতো কোন সৎ সাহসী ব্যক্তি,বা সংগঠনের সাহায্যর জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই বিধবা অসহায় বৃদ্ধা। বাদী মালেহা বলেন- কয়েকদিন আগে মেলান্দহ থানা থেকে কাসম দারোগা আইছিল।আইয়ে কয়ছে আপনের মেয়ে কে বাচ্ছা নিয়ে ডিএনএ টেস করার জন্য যাইতে হবো।টাকা পয়সা মিছিল করেন।আমি এখন টাকা পয়সা কই পামু, আরকেই সাহায্য করবো? আর এইদিহে ৫ দিনের বাচ্চা ও বাচ্চার মায়েরে কোন খাবার দিতে পারিনা।বাচ্চাকে তাল মিসতিরর পানি খিলেইতাছি মায়ের বুহে দুধ নাই।আমি এহন কি করমু কেডাই আমার এইবিপদ থেকে বাচাঁবে।আমি কি ন্যায় বিচার পামুনা? আমরা মা – মেয়ে বাচ্চাকে নিয়ে ময়রা যামু? মামলার আই ও আবুল কাশেম জানান-বাচ্চার ডিএনএ টেস্টের জন্য আবেদন করেছি।ম্যাজিস্ট্রেট অনুমতি দিলেই ভিকটিমকে নিয়ে ঢাকায় যেতে হবে।আর ঢাকায় যাতায়াতের জন্য সরকারী বাজেট নেই। ভিকটিমকে খরচ বহন করতে হবে। আর তারা যদি বাচ্চা নিয়ে কষ্ট করে আমাদের সাথে বাসে যেতে পারে তবে আমরা নিয়ে যেতে পারি। ভিকটিমদের অসহায়ত্ব বাচ্চা ও বাচ্চার মার করুন দৃশ্য দেখে যে কেউ ভেঙ্গে পড়বে।তবুও সমাজপতি,বৃত্তবান,সুহৃদয়বান মানুষের হৃদয়ে এতোটোকু আচ লাগছেনা।

বাদী মালেহা সাংবাদিকদের আরো বলেন- ডিএনটেস নাকি টাকা দিয়ে মিথ্যা করে দিবো।আর টেস করে আইসা আমাদের গ্রাম-ও বাড়ী ছাড়া করে দিবে,আমার এডা ছেলে থাকে কাম করে তারেও বলে মাইরা ফেলবো। এই কথা গুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তার আতর্নাদে এলাকা নিস্তব্ধ এবং মানবতা বিপন্ন